
নোয়াখালী প্রতিনিধি: জাহিদ হাসান
নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ৭ নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাদ ইউনিয়নের বক্তারপুর, রমাপুর ও পূর্ব গোবিন্দপুরসহ আশেপাশের এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন। এই সম্মেলন ও মানববন্ধনে এলাকার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা চিহ্নিত প্রতারক ও মামলাবাজ চক্র সাইদুর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবুর নেছা মুন্নির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করেন।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, উক্ত দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রতারণা, জমি দখল, জাল দলিল তৈরি, সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ এবং সমাজের সৎ ও সেবামূলক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এই দম্পতি সমাজসেবক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব ইউসুফ সাহেব এবং তার পরিবারকে লক্ষ্য করে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা অপবাদ, অপপ্রচার এবং হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। অথচ এলাকাবাসী জানে, আলহাজ্ব ইউসুফ সাহেব একজন দানশীল, মানবিক ও সমাজবান্ধব ব্যক্তিত্ব, যিনি বরাবরই গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থেকেছেন। তিনি তার সামর্থ্য অনুযায়ী এলাকার বহু মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। নিজেই বলেন, “আমার এলাকাবাসীই আমার পরিবার। আমি চাই মানুষের পাশে থাকতে, সেবা করতে। মহান আল্লাহ যতটুকু দিয়েছেন, তাতেই আমি সন্তুষ্ট।”
একইভাবে, বক্তারপুরের কৃতি সন্তান, চাটখিলের গর্ব এবং প্রিয় সমাজসেবক কাউসার আহমেদ কাজল—যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ এবং জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন, তাকেও এ দম্পতি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাউসার আহমেদ কাজল কোনো ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন, কিন্তু তিনি মানুষের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে আসছেন। এলাকার যুব সমাজ, মেহনতি ও গরিব মানুষদের কাছে তিনি আশার আলো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাইদুর রহমান ও তার স্ত্রী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে, চারটি থানার তদন্ত কর্মকর্তাদেরও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে এলাকাবাসীর হাতে রয়েছে এসব অভিযোগের বিপক্ষে প্রমাণ। তাদের ভাষ্য, এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে মামলার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, চাটখিল উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ এই প্রতারক ও মামলাবাজ দম্পতির বিচার চায়। তারা বলেন, এই দম্পতির কারণে সমাজে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কেউ কোনো সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসতে সাহস পায় না, কারণ পরে তাদের নামে মিথ্যা মামলা হয়।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে ৭ নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাদ ইউনিয়নের ২৮০ জন সাধারণ মানুষ লিখিতভাবে নোয়াখালী জেলার প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন। একইসাথে তারা মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, যেন দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এলাকাবাসীর একটাই আবেদন—এই দম্পতির হাত থেকে চাটখিলের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা হোক, এবং আইন অনুযায়ী কঠোর বিচার নিশ্চিত করা হোক।