
স্টাফ রিপোর্টার: মারুফ আলম
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পরিচিত ও শ্রদ্ধেয় নাম আবুল কাওসার আশা। তিনি শুধু একজন কাউন্সিলর নন, বরং এই এলাকার মানুষের জন্য একজন পথপ্রদর্শক, সমস্যার সময় ভরসার প্রতীক, একজন অকুতোভয় সমাজসেবক।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন নিঃস্বার্থভাবে। কিন্তু তার এই জনসেবামূলক পথচলা ছিল না একদমই মসৃণ। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনি হয়েছেন নানা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নির্যাতনের শিকার। মিথ্যা মামলা, প্রশাসনিক চাপ ও ব্যক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অসংখ্য চেষ্টার মধ্যেও তিনি ছিলেন অটল ও অবিচল। কখনো জনগণের স্বার্থে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।
তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানেই মানুষের কল্যাণে কাজ করা। সে বিশ্বাস থেকেই তিনি তার ওয়ার্ডে করেছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজ।
বন্দরবাসীর জন্য রাস্তাঘাট সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পানির সংকট নিরসন, অসহায় মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া কিংবা চিকিৎসা সহায়তা—সব কিছুতেই তিনি ছিলেন প্রথম সারিতে।
বিশেষ করে যুবসমাজকে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনেও ছিল তার দৃশ্যমান ভূমিকা।
স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কাওসার আশাকে শুধুই একজন রাজনীতিক হিসেবে দেখেন না, বরং নিজেদের পরিবারের একজন সদস্য বলেই মনে করেন।
একজন নারী বাসিন্দা বলেন, “আশা ভাইকে আমরা বিপদের সময় পাশে পাই, উনার মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকলে আমাদের ভয় নেই।”
একজন তরুণ বলেন, “ওনার মতো সৎ এবং সাহসী কাউন্সিলর আমরা আর দেখিনি।”
তাই আজ বন্দরবাসীর মুখে মুখে একটাই কথা—
“আবুল কাওসার আশা মানেই আমাদের আশা।”
তার নেতৃত্বগুণ, সততা ও দায়িত্বশীল আচরণ তাকে বন্দরবাসীর হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে। তিনি এখন শুধু একজন জনপ্রতিনিধি নন, বরং একজন আদর্শ নেতৃত্বের প্রতীক।