
সংগ্রহীত ছবি
নিজেস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন নয়ামাটি (কুতুবপুর) এলাকা থেকে কথিত যুবলীগ নেতা মো. মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু (৪৫)–কে র্যাব-১১ গ্রেপ্তারের ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। চুন্নুর পরিবার ও এলাকাবাসীর একাংশ দাবি করছেন, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
পরিবারের সদস্যদের মতে, চুন্নু একজন ব্যবসায়ী এবং নারায়ণগঞ্জের বাইরে ব্যবসায়িক কাজে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি তার ছোট মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাকে দেখতে বাড়িতে আসেন। আর এ সময় পরিকল্পনা করে তাকে র্যাবের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ৪ নম্বর আসামি হিসেবে চুন্নুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি, নিহত গৃহবধূর স্বামী মুন্না (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে মারধর করতেন এবং এলাকাবাসীর অনেকেই মনে করেন, মূলত স্বামীই স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
জানা গেছে, মামলার মোট ৮ জন আসামির মধ্যে সন্দেহভাজন ৩ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অথচ চুন্নু গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, চুন্নু এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর একটি অংশ চুন্নুর মুক্তি ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে শিগগিরই মানববন্ধনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
র্যাব-১১ জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমেই সত্য উন্মোচিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।