
আবারও পৌষের কনকনে ঠাণ্ডা ও হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। সূর্যের দেখা না মেলায় কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে প্রকৃতি। জেলার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা হলে ঘন কুয়াশার সাথে নেমে আসছে হিম ঠাণ্ডা। রাত যত গভীর হয়, বাড়তে থাকে কুয়াশা ও শীতের মাত্রা।
এ অবস্থা চলতে থাকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন তারা। ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কৃষিশ্রমিক আবুল হোসেন জানান, বর্তমানে খুব বিপদে আছি। ঠাণ্ডার সাথে শিরশির বাতাস। হাত-পা বের করা মুশকিল। কাজে বের হতে পারছি না। খুব কষ্টে দিন পার করছি।
জেলা শহরের রিকশাচালক আফজাল জানান, ঠাণ্ডার মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু থাকা যাচ্ছে না। ভাড়াও তেমন মিলছে না। রিকশা না চালিয়েও উপায় নেই। খুব সমস্যায় আছি।
এদিকে ঠাণ্ডায় জেলার বেড়েছে শীতজনিত রোগ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া ও শিশু জেনারেল ওয়ার্ডে দ্বিগুনেরও অনেক বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় রোগীর চাপও অনেক বেড়ে গেছে। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হলেও সাধ্যমতো দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার ৯ উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩৮ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। যা উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।